1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে ১১টি রেলওয়ে স্ট্রেশনের ভুমিতে অবৈধ বিদ্যুৎ বাণিজ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা: সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৯৩ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: আখাউড়া-সিলেট রেলওয়ে সেকশনের মৌলভীবাজার জেলার ১১টি স্টেশনের রেলওয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রভাবশালীরা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা। রেলওয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে যেসব অবৈধ বিদ্যুতের লাইন দেয়া হয়, সে সব বিদ্যুৎ বিল রেলওয়ে বহন করে আসছে। পাশাপাশি সরাসরি মেইন লাই থেকে হাজার হাজার দোকান কোটা,বাসা বাড়িতে সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারাত্মকভাবে প্রাণ হারানোর শংকা রযেছে। শুধু তাই নয় কর্মচারীরা নিজেদের নামে বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ নিয়ে একাদিক ভাড়াটেকে অবৈধ্যভাবে লাইন সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা অবৈধ সংযোগের সঙ্গে জড়িত এবং স্থানীয়ভাবে এরা প্রভাবশালী বলে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।

কারও কারও ঘরে জ্বলছে বাতি আবার কারও ঘরে এলইডি টিভি,ফ্রিজ,রান্নার জন্য হিটার ব্যবহার প্রকাশ্য। তাদের মাসিক বিদ্যুৎ বিল মাত্র ৫শত টাকা থেকে ২হাজার টাকা দিয়ে। বিদ্যুৎ নির্ভর আরাম-আয়েশে কাটছে তাদের বিলাশি জীবন। নেই বিদ্যুতের কোনো মিটার। মাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহার কত ইউনিট তাও জানার উপায় নেই। একটা নির্দিষ্ট সংখ্যায় মাসের পর মাস অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও নামমাত্র মূল্য দিয়ে থাকেন ব্যবহারকারীরা। দিনের পর দিন এভাবে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সুবিধা ভোগ করছেন এক শ্রেণির অসাধু প্রবাশলীরা। ফলে বড় অংকের ক্ষতির মুখে পড়ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। আখাউড়া-সিলেট রেলওয়ে মৌলভীবাজারের ১১টি স্টেশনের মধ্যে কয়েকটি বন্ধ থাকলেও স্টেশনে কর্মকর্তা কর্মচারী বেশীরভাগই একাদিক পরিবারকে ভাড়া দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করছেন। প্রতিটি রেলওয়ে ষ্টেশনের পাশে আবাসিক কোয়ার্টার (বাসা), মার্কেট,কলোনী ছোট,বড় হাজার হাজার স্থাপনা রয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ পিডিবি (ওয়াপদা) ও পল্লি বিদ্যুৎ থেকে এসব বাসা ও অফিসের বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে ১১টি স্টেশনে কয়েক হাজার দোকান পাট,মার্কেট,বাসা নির্মান করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেখা যায়। বৈধভাবে সংযোগ দেয়া বাসা ও প্রতিষ্ঠানে বেশীরভাগেই নেই কোন মিটার। অবৈধভাবে সংযোগ নেয়া এসব মার্কেট,বাসা,বাড়িতে লাইট,ফ্যান,ফ্রিজ,ইলেকট্রিক আয়রন,বৈদ্যুতিক চুল্লি,পানি উত্তোলনের মটরসহ রান্নায় ব্যবহ্রত হিটার,হোটেলে চলে রেলওয়ের বিদ্যুতে। শুধু তাই নয় শত শত ভাসমান দোকান,টং দোকান,ঝুপরিঘরে এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাংবাদিক নাম শুনেই পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী/পুরুষরা এই সিন্ডিকেট চক্রের নাম ঠিাকানা ও গোপন ক্যামেরায় জানান। অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে সরাসরি রেলওয়ে ও বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। এভাবে প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু চক্রটি। তদারকি না থাকায় ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করছে রেল কর্তৃপক্ষকে।
অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী একাদিক পুরুষরা দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে বলেন- বিদ্যুৎ বিভাগের লোকেরা এসব অবৈধ সংযোগের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে টাকা দিয়ে বাসায় বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছি। মাসে ৫’শ থেকে ২হাজার টাকা দিতে হয়।
মার্কেট,বাসা.ছোট বড় ঝোপরিবাড়িতে অবৈধবিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি কিন্তুু কোনো মিটার নেই। রেওয়ের কর্মচারীরা বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন। মাসে মাসে টাকা নিয়ে যান। আমাদের এখানে কোনো ঘরে বিদ্যুৎ মিটার নেই সরজমিনে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী একাদিক নারী দনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে জানান- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনিতে বসবাসকারী চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী বলেন, রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব ইউনিট নামে-বেনামে বরাদ্দ নিয়ে বহিরাগতদের ভাড়া দিচ্ছেন। আর ওইসব ইউনিটে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ বৈদ্যুতিক চুল্লি। ফলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা গচ্চা যাচ্ছে।
অবৈধ বিদ্যুৎ প্রদানকারী আব্দুল রহিম (সাধারন সম্পাদক- রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন) গোপনে রেকর্ডকৃত বক্তব্য বলেন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছুই জানেন না বলে জানান। এ তথ্য কি ভাবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান এসব তথ্য আমাদের এখানে সংরক্ষিত নেই, রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাবেন। একাদিক স্টাফ কর্মচারীরা বলেন ‘এগুলোর সাথে জড়িত না’ মোবাইল সংযোগটি তৎক্ষণিক কেটে দিয়েছে অনেকে।
মো. সাখাওয়াত, দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার, শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন দনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে জানান- আমি শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বে এসেছি প্রায় দুই বছর হলো। শুনেছি স্টেশনের আশেপাশে কিছু অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আসলে আমার কাজের মধ্যে পড়ে না। আমিও চাই এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হোক।
দীপেন্দ্র ভটাচার্য, সভাপতি, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) দনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে বলেন- সমাজে একটা শ্রেণি আছে সবকিছুর মধ্যে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশে অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ তারই একটি নমুনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র সোচ্চার হয় তবেই হয়তো এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব।
জুয়েল আহমদ. উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, (আইডব্লিউ কর্মকর্তা) সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে জংশন মৌলভীবাজার এরিয়া দনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে বলেন- কয়েবদিন তাহার অফিসে গেলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সটকে যান। মোঠে ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্থতা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। মোঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়না। চতুর চালাক এই প্রকৌশলী দার্ঘদিন থেকে বহাল তবিহতে নিজের প্রভাব দেখিয়ে কর্মরত রয়েছেন।
রোমান উদ্দিন রুকন, স্টেশন মাস্টার, কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন দনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে বলেন- বৈদ্যুতিক অফিস বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজে নিয়োজিত বৈধ সংযোগ দেয়া প্রতি বাসায় একটি করে মিটার দেয়া হয় এবং মিটারের রেডিং অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনের অংশ থেকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা কেটে নেয়া হয়। অপরদিকে মাস শেষে রেলওয়ে এলাকায় ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল পিডিবি (ওয়াপদা) বিদ্যুৎ অফিসে পরিশোধ করে রেলওয়ে।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এমপি, মৌলভীবাজার (কুলাউড়া সংসীয় আসন), মৌলভীবাজার দনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে জানান- অবৈধ্যভাবে যারাই রেলওয়ের ভুমিতে বসবাস করছে ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দায়িত্ব রেলওয়ের কতৃপক্ষের। যথাযত ব্যবস্থা নেয় প্রয়োজন।
মো: হাবিবুর বাহার, নিবাহী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোড, (পাউবো) মৌলভীবাজার দনিক মৌমাছি কন্ঠ পত্রিকাকে বলেন- যারা এক মিটার থেকে একাদিক মিটার চালান ও রেওয়ের কৃষি খাতে লীজকৃত ভুমিতে শুধু মাত্র সেচের জন্য সংযোগ নিতে পাবে। বানিজ্যিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। তাছাড়া প্রয়োজণীয় কাগজপত্র বাধ্যতামুলক জমা দিয়ে সংযোগ নিতে হয়। যারাই অবৈধ্যভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে তাদের বিরুদ্ধে অইনগত ব্যবস্থা নেয়া অবশ্যই হবে। রেলওয়ে সংলগ্ন আশপাশের বিভিন্ন দোকান কোঠা বা বসতঘর সমূহে যদি কোনো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো বিচ্ছিন্ন করা হবে।
রেলওয়ের ১১টি স্টেশনে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনসহ সরকারের কোটি কোটি টাকা রক্ষায় এগ্রিয়ে আসার আহবান সচেতন মহলের।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..